মিজানুর রহমান মিলন, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বিয়ের সাত দিনের মাথায় সাবেক প্রেমিকের উপর্যুপরি দায়ের কোপে নিহত হয়েছেন সদ্য বিবাহিতা দিতি।
মেহেদির রং মোছার আগেই রক্তের বন্যায় রাঙিয়ে দেয়া হলো দিতির শরীর। নিথর দেহ পড়ে ছিল নিজ বসতঘরের মেঝেতে। উপজেলার কালীনগর মহল্লার মুছা মিয়ার মেয়ে দিতি।
পুলিশ জানায়, নালিতাবাড়ী পৌরসভার কালিনগর মহল্লার মৃত আবদুল হামিদের ছেলে রুহুল আমিনের সঙ্গে প্রতিবেশী মুছা মিয়ার মেয়ে দিতির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু রুহুল আমিন মাদকাসক্ত থাকায় গত বৃহস্পতিবার উপজেলার চেল্লাখালী সন্নাসী ভিটা এলাকার খাইরুল নামে এক যুবকের সঙ্গে দিতির বিয়ে দেন পরিবার।
বিয়ের পর দিতিকে বাবার বাড়ি কালিনগর রেখে স্বামী খাইরুল রোববার কর্মস্থল ঢাকায় চলে যান। (২৯ জুন) বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রহুল আমিন তার ভাবি রুমেলাকে নিয়ে দিতিদের বাড়িতে যায়।
এ সময় রুমেলা দরজা খুলতে বললে দিতি দরজা খোলা মাত্রই রুহুল আমিন বঁটি দা নিয়ে দিতির মাথায় কয়েকটি কোপ দিলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে স্বজনরা উদ্ধার করে দিতিকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নকলা এলাকায় দিতির মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে রুহুল আমিনের ভাবি রুমেলাকে আটক করে। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রহুল আমিন নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।